বিএনএ, জবি: মেহেদী হাসান রাব্বি নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কলেজ পাড়ার নিজ বাসায় তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত রাব্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্ৰামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কলেজ পাড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মেহেদী দরজা বন্ধ করে নিজ রুমে ঘুমাতে যান। আজ (সোমবার) সকালে রাব্বিকে পরিবারের সদস্যরা ঘুমানো অবস্থায় দেখেন। কিন্তু দুপুরে তাঁর দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। অনেক চেষ্টা করে দরজা খুলতে না পেরে শেষে দরজা ভেঙ্গে দেখেন মেহেদী হাসান রাব্বি’র মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এই বিষয়ে জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, নিহত মেহেদী হাসান রাব্বি জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। আমরা জানতে পারি গত রাতে সে নিজ রুমে ঘুমাতে যান। আজ দুপুর পর্যন্ত তাঁর রুম বন্ধ থাকলে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। তখন তারা দরজা ভেঙ্গে দেখে মেহেদীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। আমরা এ ঘটনায় খুব শোকাহত। আজ বাদ এশা মেহেদীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ।
নিহত মেহেদী’র বিষয়ে তার বিভাগীয় চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি আমার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হওয়ার কারণে কাছ থেকে চিনি। সে খুব অমায়িক ছেলে ছিল। আমি যতটুকু জানি তাঁর প্রেম ঘটিত এবং অর্থনৈতিক কোনো সমস্যা ছিল না। ১ বছর আগে তাঁর বাবা মারা যান। এজন্য তাঁর মন খারাপ ছিল।
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এই ঘটনায় আমি এখনো অবগত নয়। অবগত হওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারব।
বিএনএ/সাহিদুল, এমএফ