বিএনএ,ঢাকা: দেশে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তা সামাল দিতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চারটি প্রতিষ্ঠানকে এই ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর২০২৩) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আপাতত ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সেই চারটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং এবং অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড।
বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে উল্লেখ করে সেই কর্মকর্তা জানান, আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়।
আমদানির শর্ত সমূহ
ডিম আমদানি ক্ষেত্রে পাঁচটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। সেগুলো হচ্ছে, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ হতে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রফতানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ জমা দিতে হবে।
একই সঙ্গে সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। তাছাড়া সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
ডিমের দাম নির্ধারণ
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাসভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হওয়ায় আমরা ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। প্রতি পিস ডিম এখন থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। এর বেশি বিক্রি করা হলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএ,জিএন/ হাসনাহেনা/এইচ এ মুন্নী