বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) হচ্ছে এমন একটি পাসপোর্ট যাতে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য জলছাপের মাধ্যমে ছবির নিচে লুক্বায়িত থাকে। এখানে ব্যক্তিগত তথ্য, বিবরণী ধারণ করে। এসব লুকায়িত তথ্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট মেশিনের মাধ্যমে পড়া যায় ফলে ভ্রমণ ডকুমেন্ট এর নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়। দ্রুততম সময়ে পড়া যায় ফলে ইমিগ্রেশনে প্রক্রিয়াকরণ সময় কম লাগে।
করোনাকালে বন্ধ থাকার পর আবারও পুরোদমে পাসপোর্ট প্রিন্ট শুরু হয়েছে। আগামী চারদিনের মধ্যে জমে থাকা পাসপোর্ট প্রিন্ট দেওয়া হবে বলে পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানায়, ২০২০ সালের মধ্যে তাদের ই-পাসপোর্ট চালুর করার লক্ষ্য ছিল। এরইমধ্যে দেশের ৭২টি আঞ্চলিক অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মকর্তারা দেশের বাইরে যেতে না পারায় এটা চালু করা সম্ভব হয়নি।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর আরও জানায়, দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট মেশিন ১০ বছরের অধিক হওয়ায় তার সক্ষমতা হারিয়েছে। অন্যদিকে সিস্টেমটি পুরাতন হওয়ায় তা আপগ্রেডেশনের প্রয়োজন হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর-ডিআইপি ৩ কোটি এমআরপির জন্য আঙুলের ছাপ নেওয়া ও পাসপোর্ট ছাপানোর চুক্তি করেছিল মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান আইরিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে।
কিন্তু গত জুনে এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর নতুন করে কোনো এমআরপির ডেটা এন্ট্রি না নেওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান জানান, আগে থেকে সংকেত না দেওয়ায় তারা বিষয়টি জানতে পারেনি। অন্যদিকে করোনার কারণে দীর্ঘদিন অফিস বন্ধ থাকায় দেরি হয়ে যায়।
গত কয়েকদিন পাসপোর্ট প্রিন্টিং বন্ধ ছিল জানিয়ে বিদেশের বিভিন্ন মিশন থেকে যে সংবাদ ছাপানো হয়েছে তা সত্য নয় বলেও জানায় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সফটওয়্যার সমস্যার জন্য প্রিন্টিং কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, তবে বন্ধ হয়নি। পাসপোর্ট নিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
পরে নতুন করে এমআরপির জন্য চুক্তি করা মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এর মধ্যে গত কয়েকদিনের দুর্ভোগ শেষে আবারও এমআরপি প্রিন্টিং কাজ শুরু করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানায়, এরই মধ্যে আগের আবেদনকৃত ৩২ হাজারের বেশি পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জমে থাকা বাকি পাসপোর্ট প্রিন্ট দেওয়া হবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর আরও জানায়, সারাবিশ্বে পুরোপুরি ই-পাসপোর্ট চালুর আগ পর্যন্ত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু থাকবে। এরই মধ্যে ৪০ লাখ নতুন করে পাসপোর্ট ক্রয় করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ