বিএনএ সিলেট: উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে সিলেটের সুরমা-সারিসহ সবকটি নদ-নদীতে পানি প্রবাহ বেড়েছে। তবে পানির প্রবাহ বাড়লেও এখন পর্যন্ত সবকটি নদ-নদীর পানিই বিপৎসীমা থেকে বেশ কয়েক সেন্টিমিটার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ কারণে আপাতত সিলেট অঞ্চলে বন্যার কোন শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা হচ্ছে ১২ দশমিক ৭৫ মিটার, সেখানে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১২ দশমিক ০৯ মিটারে, যা বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার কম। একই ভাবে সুরমার সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়েই পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
একই সময়ে সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টে ২২২ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ২০০ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ৯৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বেড়েছে কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জে, লোভাছড়া, ধলাই, পিয়াইন নদীরও।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার জানান, এই সময়ে নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক। পানি বাড়লেও আপাতত বন্যার কোন শঙ্কা নেই, তবে পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সকল নদীর পানি যদি বিপৎসীমা অতিক্রম করে তাহলেই বন্যা হতে পারে।
এদিকে টানা বর্ষণের কারণে সারি ও পিয়াইনের পানি বাড়ায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে সদ্য রোপা আমন এবং পাকা আউশ ও ইরির ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানিয়েছেন, পানিতে উপজেলার ৪৫ হেক্টর আউশ, ৮২০ হেক্টর আমন এবং ৩০ হেক্টর বীজতলা এবং ২ হেক্টর সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তিন-চারদিনের মধ্যে পানি না নামলে এসব ফসলের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ