বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর উত্তরা ও বাড্ডায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উত্তরায় সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আর বাড্ডায় নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছে শতাধিক আন্দোলনকর্মী।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উত্তরায় নিহত দুজনই আন্দোলনকারী। আর বাড্ডায় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত ব্যক্তি পথচারী ছিলেন। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসচালক বলে রামপুরার ফরাজী হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সকালে মেরুল বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পাশের ইস্ট–ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাতে যোগ দেন। দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট–পাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে।
এর মধ্যে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দুলাল মাতব্বর নামে ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক রুবেল হোসেন বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট–ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশপাশের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুইশ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উত্তরায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সাব্বির আহমেদ বলেন, সংঘর্ষে নিহত এক ছাত্রকে দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত ওই ছাত্র নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে গেছেন।
অধ্যক্ষ জানান, শতাধিক ছাত্র আহত অবস্থায় এই হাসপাতালে আসেন। তাঁদের অনেককেই চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ৪০০ জনের বেশি আন্দোলনকারী আহত হয়ে তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম/ হাসনা