বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যূদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আয়ুব আলী’কে ২১ বছর পর হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।রোববার(১৮ জুন) র্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আয়ুব আলী (৭০) লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদের মৃত ইয়াকুব মিয়ার পুত্র।
র্যাব -৭ জানায়, ২০০২ সালের ৩০ মার্চ আদালতে সাক্ষী দেওয়ার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় কিছু দুস্কৃতিকারী ও সৈয়দ বাহিনীর সদস্যরা ব্যবসায়ী জানে আলম (৪৮) কে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর বড় ছেলে মোঃ তজবিরুল আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
এর চার মাস পূর্বে ২০০১ সালের ৯ নভেম্বর নিহত জানে আলেমের ছোট ভাইকে হত্যা করে দুষ্কৃতিকারীরা। উক্ত ঘটনায়ও লোহাগাড়া থানায় ১৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলাতেও আয়ুব আলী অন্যতম প্রধান আসামী ছিলেন।
পরবর্তীতে ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যায় দায়েরকৃত মামলার ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আদালত ১২ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত করেন। এরপর সুপ্রীম কোর্টে আপীল করলে আদালত আয়ুব আলীসহ মোট ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত, ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং বাকীদের খালাস দেন।
র্যাব-৭ আরও জানায়, র্যাব-৭ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, আয়ুব আলী চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন ফতেহাবাদ এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার( ১৭ জুন) সে এলাকায় অভিযান চালায় এবং তাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ব্যবসায়ী জানে আলম আপন ছোট ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন। জানে আলম আর্থিকভাবেও কিছুটা স্বচ্ছল ছিলেন। তাই মামলা-মোকদ্দমার ব্যয়ভার তিনি বহন করতেন। এতে প্রতিপক্ষের তার ওপর আক্রোশ ছিল। প্রতিপক্ষের ধারণা ছিল যে, ব্যবসায়ী জানে আলমকে হত্যা করলে ঐ পরিবারের মামলা-মোকদ্দমা চালাবার মত কোন লোক থাকবে না এবং প্রত্যক্ষভাবে আর কোন সাক্ষীও থাকবে না। এই কারণে ব্যবসায়ী জানে আলমকে হত্যা করে।
আয়ুব আলীকে (৭০) সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএ/ ওজি