বিএনএ, ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ৬ উপজেলার ২৫ ইউনিয়নের ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়েছে হাজারো পরিবার। বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে পানি। ডুবে গেছে শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে বন্ধ যানবাহন চলাচল।
জানা গেছে, উজানের ঢল ও টানা ভারিবর্ষণের দ্রুত বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করছে পানি। এ ছাড়া করিমগঞ্জ, তাড়াইল, বাজিতপুর ও ভেরব উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, হাওড়ের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামীকাল রোববার থেকে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, এ পর্যন্ত হাওরের অন্তত ২৫টি ইউনিয়নের ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। দ্রুত বাড়ছে পানি। এ অবস্থায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। হাওর উপজেলাগুলো পরিদর্শন করে ইউএনওসহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি সভা করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ১৪০ টন চাল, ২ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট ও আড়াই লাখ টাকার জিআর চাল মজুত রয়েছে।
বিএনএ/এমএফ