বিএনএ,চট্টগ্রাম: ভাসানচর থেকে সন্দ্বীপ হয়ে কক্সবাজার পালানোর সময় স্থানীয় জেলেদের হাতে আটক হয়েছে ১১ রোহিঙ্গা। যাদের ৯ জন একই পরিবারের সদস্য, বাকি ১ জন দালাল।
মঙ্গলবার (১৮ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সন্দ্বীপের পশ্চিম উপকূলের রহমতপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাহির থেকে এদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার ১১ রোহিঙ্গার মধ্যে ছয়জন নারী, তিনজন শিশু ও দুই জন যুবক রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তারা হলেন- বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাপড় ব্যবসায়ী ইয়াছিন আরাফাত (২৪), ওমর ফারুক (২২), মোহছেনা বেগম (২৫) ও তার তিন সন্তান মফিজুর রহমান (৯), হোসনে আরা (৮) ও হাফিজুর রহমান (৭)। এছাড়া দিল কায়স (৩০), মোফায়দা (১৫), রহিমা খাতুন (৫০), নুর হাবা (২৩)।
জানা গেছে, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দালালের মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে জেলে নৌকা যোগে সন্দ্বীপ উপকূলে পালিয়ে আসে ১১ রোহিঙ্গা। তারা সন্দ্বীপ হয়ে কক্সবাজারের বালুখালী ক্যাম্পে ফেরৎ যাওয়ার উদ্দেশেই ভাষানচর থেকে পালিয়ে এসেছে।ইয়াছিন আরাফাত নামের দালালের সাথে দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদেরকে কক্সবাজারে পৌঁছে দেয়ার চুক্তি হয়েছিল। মূলত অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যেতে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। গত এক বছর আগে কুতুপালং থেকে ভাসানচর ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছিল এ শরণার্থীদের।
তাদের মধ্যে নুর হাবা জানিয়েছেন, সন্দ্বীপে চ্যানেল পারাপারের জন্য নৌকার মাঝি ৩৫ হাজার টাকা নগদ নেয়ার পরও আমাদের কাছ থেকে আধাভরির চেয়ে বেশি সোনা-দানা নিয়েছে। ক্যাম্প থেকে বের করতে দালাল নাকি ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। কক্সবাজার পৌঁছাতে শিশুদের জন্য জনপ্রতি ১৫ হাজার ও বড়দের জন্য জনপ্রতি ৩০ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল।
সন্দ্বীপ কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সফিউল্লাহ জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা ভাসানচর নৌবাহিনী কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করেছেন। তারা বলেছেন আটক রোহিঙ্গাদের সন্দ্বীপ থানায় হস্তান্তর করার জন্য। আমরা তাদেরকে সন্দ্বীপ থানায় হস্তান্তর করেছি। তাদেরকে সন্দ্বীপ থানার মাধ্যমে পুনরায় ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরৎ পাঠানো হবে।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ খান বলেন, তাদেরকে সকাল ১১টায় থানায় নিয়ে আসা হয়। ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দালালের মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে নৌকায় করে সন্দ্বীপ উপকূলে পালিয়ে আসে ১১ রোহিঙ্গা। তারা সন্দ্বীপ হয়ে কক্সবাজার পালিয়ে যাচ্ছিলেন।এদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে বলেও জানান।
উল্লেখ, ইতোপূর্বে প্রথমে আজিমপুরে একজন ও তার কয়েকদিনের মধ্যে মাইটভাঙ্গা এলাকা থেকে আরো তিন রোহিঙ্গাকে সন্দ্বীপের স্থানীয় জনতা আটক করেছিলো। তাদেরও সন্দ্বীপ থানা পুলিশের মাধ্যমে ভাসানচর ক্যাম্পে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনএনিউজ/মনির