বিএনএ,নারায়নগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল,৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি চাপাতি, ১টি হাতুড়ি, ১টি কোরাবারী ও ৪৪টি ককটেল জব্দ করে র্যাব সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো- মো. আব্দুর রশিদ(৪৫),মো. রফিকুল ইসলাম(৪০),মো. বাবুল হোসেন (৩২),মো. সেলিম(৩২),মো. রিপন ভূঁইয়া(২৬),মো. রবিউল ইসলাম(২৬) ও মো. জাবেদ হোসেন (২৯)।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
র্যাব-১১’র সদর দপ্তরে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে রতিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ২ মাস যাবৎ কঠোর গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে এই ডাকাত দলকে শনাক্ত করে র্যাব।অতঃপর বুধবার মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় ওই চক্রের ৭ সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল।তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।
লেঃ কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র বড় বড় স্বর্ণের দোকান টার্গেট করে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।ককটেল বিস্ফোরণ,অস্ত্র প্রদর্শন করে জনমনে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে স্বর্ণের দোকান লুট করে মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়।দীর্ঘদিন ধরে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের অপরাপর সহযোগীদের নিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে আসছিল।স্বর্ণের দোকান ডাকাতির জন্য তারা সন্ধ্যা থেকে দোকান বন্ধের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সময়কে বেছে নেয়।
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বর্ণের দোকানে ঘটে যাওয়া এই রকম বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির সঙ্গে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্যরা জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।গ্রেফতারকৃত আসামইরা লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান করছিল।কয়েকদিন আগে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ককটেল বানানোর সময় এই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান গ্রেফতারকৃত মোঃ বাবুল হোসেনের পা বিস্ফোরণে উড়ে যায়।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি