বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান রোহিত খুনের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার ( ১৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার মুগদা ও মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারা হলো- সাইফুল ইসলাম বাবু (২০) ও মো. মহিউদ্দীন।
এদের মধ্যে মহিউদ্দীন নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়। মহিউদ্দীন নিজেকে মহানগর যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ব্যানার পোস্টারও ছাপিয়েছে। সাইফুল ইসলাম বাবু ভোলা জেলার লালমোহন এলাকার খায়রুল ইসলামের ছেলে। মহিউদ্দিন নামের অপরজন নগরীর ডিসি রোডের আলি করিমের ছেলে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আশিকুর রহমান রোহিতকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনার আটদিন পর রোহিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে আসামিরা পালিয়ে যায়। তাদের ঢাকার মুগদা ও মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার এড়াতে মহিউদ্দীন নিজের দাঁড়ি কেটে ফেলে বেশভূষা পরিবর্তন করেছে। দুই আসামি পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন আছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। গ্রেফতার দুই আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মো. আবদুল রউফ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ, সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম ও বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত হন আশিকুর রহমান রোহিত। এ সময় তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন ৯ জানুয়ারি রোহিতের ভাই জাহিদুর রহমান বাদি হয়ে বাকলিয়া থানায় তিনজনকে এজাহারনামীয় আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
বিএনএনিউজ/আমিন