বিশ্ব ডেস্ক : কোটা বিরোধী আন্দোলনের বিক্ষোভ চলাকালে সারা বাংলাদেশে এবং বিশেষ করে ঢাকায় যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ হয়েছিল তাতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ গুলিতে মারা গেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
৮ আগস্ট২০২৪ দায়িত্ব নেবার পর থেকে সাখাওয়াত হোসেন ইতিমধ্যেই সহিংসতার বিষয়ে নিবিড় তদন্ত শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার কিছু জায়গায় এবং অন্যান্য জেলায় জনতার ওপর যাদের বেশিরভাগই ছাত্র এবং যুবক ছিল তৎকালীন শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী গুলি চালায় অথবা প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।’
শীর্ষ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ের নেতাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে তারা বিশেষত তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আলী আরাফাত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে খুঁজে বের করতে বেশি আগ্রহী।
বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে , ‘আগে ধারণা করা হয়েছিল সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিমানবন্দরে আটক করেছে। কিন্ত তাকে এখনো পাওয়া যায়নি। সে কোথাও লুকিয়ে আছে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আওয়ামী লীগের শাসনামলের অর্ধেক নেতাকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি পালিয়ে যান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত বলেন, ‘একজন ‘মেগালোম্যানিয়াক’ হিসাবে শেখ হাসিনা একটি অত্যাচারী সরকারের প্রধান হিসেবে দেশ শাসন করে গেছেন এবং মানুষের জীবন নিয়ে তিনি বিশেষ মাথা ঘামাতেন না।
এসজিএন