বিএনএ, চট্টগ্রাম : মিয়ানমারের পাচারের উদ্দেশ্যে থাকা ১৭ টন ইউরিয়া সার উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।বঙ্গোপসাগরে একটি কাঠের ট্রলারে তল্লাশি করে ৩৪০ বস্তায় থাকা ইউরিয়াগুলো উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে নৌ-পুলিশের চট্টগ্রামের কুমিরা ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর জানান, এফভি আবদুর রহমান-১ নামে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী পাহাড়তলীর খেজুরতলা এলাকায় অপেক্ষমাণ ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ট্রলার আটকে ৩৪০ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মোট ১৭ হাজার কেজি সার পাওয়া গেছে। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারে থাকা লোকজন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধার করা সারগুলো কুমিরা নৌ-ফাঁড়িতে আনা হয়।
তিনি বলেন, সারগুলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে (কাফকো) উৎপাদিত। কৃষকদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সেগুলো কাফকো থেকে কিনেছিল। সাধারণত প্রথমে বিসিআইসি তাদের নিয়োজিত ঠিকাদারের মাধ্যমে কারখানা থেকে সারগুলো তাদের বাফার গুদামে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের নিয়োজিত ডিলারের কাছে সরবরাহ করা হয়। ‘আমাদের ধারণা, আটক করা ট্রলারের মালিকসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিসিআইসির ঠিকাদার বা অন্য কোনো উৎস থেকে সারগুলো সংগ্রহ করে মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুত করেছিল।’
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে পাহাড়তলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ট্রলার মালিক আব্দুল করিম ও মাস্টার জসীম উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেন কুমিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান সওদাগর। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে- গত ১৪ মে ট্রলারটি আটক করা হয়।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।