বিএনএ, ডেস্ক : আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় স্বামী সুমনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।হত্যাকাণ্ডের প্রায় ছয় মাস পর র্যাবের হাতে সুমন গ্রেফতার হন বলে শনিবার (১৬ এপ্রিল) চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
র্যাব জানিয়েছে, গত বছরের ৩১ অক্টোবর যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় সুমনের। পরে মোটরসাইকেলে করে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে থাপ্পড় মেরে স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে দেন সুমন। সেখানেই শুরু করেন মারধর। আঙুলের আঘাতে স্ত্রীর বাম চোখ নষ্ট করে ফেলেন। হাত-পা ভেঙে দেন। ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন। শেষে মোটরসাইকেলের গরম সেলেঞ্জার পাইপের সঙ্গে মনির বুক চেপে ধরেন। এরপর স্ত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান সুমন। টানা ২৬ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত বছরের ২৫ নভেম্বর গর্ভাবস্থায় মারা যান মনি আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ আজও জানান, সুমন এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করেছেন। প্রায় আট বছর আগে প্রথম বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন সুমন। এর পাঁচ বছর পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এসব তথ্য গোপন করে দেড় বছর আগে মোবাইল ফোনে মনি আক্তার নামে একজনের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে মনিকে বিয়ে করেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, মনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভুজপুর থানায় একটি মামলা হয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ঘাতক সুমনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বায়োজিদ বোস্তামি থানাধীন চন্দ্রনগর এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ভুজপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএ/ওজি