বিএনএ, রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি সরকারি কলেজে (রাসক) নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধু’র ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শেখ রাসেল দেয়ালিকা উদ্বোধন, প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শন, কেক কাটা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কলেজ প্রশাসন।
শুক্রবার(১৭ মার্চ) সকালে কলেজের হলরুমে ধর্মীয় গ্রন্থসমূহ পাঠের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তুষার কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর জাহেদা সুলতানা এবং শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক রনজিত বিশ্বাস।
অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক উসাই মং মারমা’র সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক রবিউজ্জামান, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা আফরোজা, দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান গিয়াস উদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফেরদৌস কবির এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের পক্ষে দিদারুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর তুষার কান্তি বড়ুয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৮ মিনিটের বক্তৃতার মাধ্যমে বাঙালীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে। দেশের জন্য হেসে হেসে প্রাণ দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা৷ তিনি শিশুদের ভালোবাসতেন। অন্যকে নিজের ছাতা দিয়ে নিজেই বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে এসেছিলেন। কিশোর বয়সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য কারাগার গেছেন। কথা বলেছেন অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তিনি বাংলার মানুষকে ভালোবাসতেন। কিন্তু নির্মম ইতিহাস বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল পর্যন্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, শেখ বংশের আদরের ‘খোকা’ই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বাঙালির ‘মুজিব ভাই’, ‘বঙ্গবন্ধু’ ও জাতির পিতা। যারা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ লালন করে নিজেদের মেধা ও শ্রমকে আত্মনিয়োগ করবেন তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক হয়ে ওঠবে। বঙ্গবন্ধু মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থিক নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছেন। জাতীয়ভাবে উদযাপন হচ্ছে শিশু দিবস। আজকের শিশুরাই আগামীদিনে সোনার বাংলা গড়ার কারিগর হবে, মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিবেন।
অনুষ্ঠানে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকরা, কর্মচারী এবং ছাত্র প্রতিনিধি সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে আবৃত্তি ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিএনএ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন,ওজি