25 C
আবহাওয়া
৩:৫৯ অপরাহ্ণ - জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » জুমার দিনের বিশেষ আমল কী কী

জুমার দিনের বিশেষ আমল কী কী

জুমার দিনের বিশেষ আমল কী কী

বিএনএ, ইসলামিক ডেস্ক: ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তায়ালার কাছে এত বেশি যে, কুরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল করা হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুমা- ০৯)।

এক হাদিসে নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হযরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪)

মহানবী (সা.) আরো ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার যেকোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৪০০)

জুমার দিনের বিশেষ আমল
রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ১০৪৭)।

এমনিতেই তিরমিজি শরিফের হাদিস অনুযায়ী আমরা জানতে পারি, যে ব্যক্তি দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার ওপর ১০টি রহমত নাযিল করবেন। সুতরাং আমাদের জুমার দিন অন্যান্য আমলের সাথে সাথে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে।

আবু সাঈদ খুদরী রা. ও আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, তার কাছে থাকা সুন্দরতম জামাটি পরিধান করল এবং সংগ্রহে থাকলে সুগন্ধি ব্যবহার করল, এরপর জুমাতে উপস্থিত হল, কারো কাঁধ ডিঙ্গিয়ে গেল না, তারপর আল্লাহর তাওফীক অনুযায়ী সুন্নত-নফল পড়ল, অতঃপর খতিব (খুতবার জন্য) বের হওয়া থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত নিশ্চুপ থাকল, তার এই নামাজ এ জুমা থেকে সামনের জুমা পর্যন্ত (গোনাহের) কাফ্ফারা হবে।

(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১১৭৬৮; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৭৭৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ১৭৬২; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ১০৪৬৫)

জুমার নামাজের বদৌলতে আল্লাহতায়ালা দশ দিনের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- জুমার দিন যে ব্যক্তি মাথা ধুয়ে গোসল করে, এরপর উত্তম আতর ব্যবহার করে এবং তার জামাগুলো থেকে ভালো জামাটি পরিধান করে, তারপর নামাজের উদ্দেশে বের হয়, (মসজিদে গিয়ে একসাথে থাকা) দুইজনের মাঝে গিয়ে বসে না, অতঃপর মনোযোগের সাথে ইমামের খুতবা শোনে, ওই ব্যক্তির এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদিস ১৪০৩)

এসব হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয়, জুমার দিনের বিশেষ আমল হচ্ছে, উত্তমরূপে গোসল করা, সবচেয়ে সুন্দর জামাটি পরিধান করা, খোশবু থাকলে ব্যবহার করা, একাগ্রচিত্তে খুতবা শোনা, মসজিদে কাউকে কষ্ট না দেওয়া, সামনে যাওয়ার জন্য কাউকে ডিঙ্গিয়ে না যাওয়া এবং খুতবা চলাকালে কোনো কথা না বলা ও কঙ্কর স্পর্শ না করা তথা অনর্থক কোনো কিছু না করা।

যে ব্যক্তি এভাবে জুমার নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তাআলা তার এক সপ্তাহ, বরং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের গোনাহ-খাতা মাফ করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের আমল করার তাওফীক দান করুন- আমিন।

বিএনএনিউজ/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ