ঢাকা: তীব্র গ্যাস সংকট। বাসাবাড়ি, সিএনজি স্টেশন, পেট্রোল পাম্প, কলকারখানা সর্বত্র। সংকটের দ্রুত সমাধানে কোন সুখবর নেই। পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০০ মিলিয়ন বা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। বিপরীতে সরবরাহ রয়েছে ২৫৫০ মিলিয়ন বা ২৫০ কোটি ঘনফুট। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের কাজ চলছে। তবে চলমান সংকট কিছুদিনের মধ্যে কেটে যাবে।
আবাসিকে গ্যাস সংকটের কথা স্বীকার করছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, শীতে সঞ্চালন লাইনে সমস্যার কারণেই এই সংকট। রাজধানীর বিভিন্ন বাসায় সকাল ৮ টার পর থেকে দিনভর চুলা জ্বলে না। অনেক এলাকায় মধ্যরাতে হচ্ছে রান্নার কাজ। এ অবস্থায় তিতাসের পাশাপাশি এলপিজি সংযোগও নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক গ্রাহক।
চলতি মাসের শুরু থেকে সংকট দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বেশিরভাগ এলাকায় দিনের বেলায় কল-কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।গাজীপুর, সাভার, কোনাবাড়ী, নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের শিল্পাঞ্চলে চলছে এই সংকট।
এদিকে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) স্টেশনগুলোতেও গ্যাসের চাপ খুবই কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এতে সড়কে যানজটও বাড়ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে উৎপাদন কমে গেছে। তবে আমরা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। আমাদের ২০২৬ সালের মধ্যে প্রায় ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদন করছি।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহসহ ১২ জেলায় তিতাসের গ্রাহকরা দৈনিক প্রায় ১৮০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস পেত। এখন মিলছে দেড়শ কোটি ঘনফুটের নিচে। একটি ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল মেরামতের কাজ চলায়, আমদানির গ্যাস কমেছে বলে জানান তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সবচেয়ে বেশি উৎপাদনকারী বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রসহ স্থানীয় ক্ষেত্রগুলোতেও গ্যাসের উৎপাদনও কমে যাওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
বিএনএ,এসজিএন/এইচমুন্নী