ঢাকা: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে মাঝ নদীতে ৯ যানবাহন নিয়ে ডুবে গেল রজনীগন্ধা ফেরি। দুর্ঘটনার পর ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছেন ফেরিটির দ্বিতীয় মাস্টার হুমায়ুন কবির । তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে মাঝ নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফেরি ডুবে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ।
তিনি জানান, বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৫ নম্বর ঘাট এলাকার কাছাকাছি রজনীগন্ধা নামে একটি ফেরি ডুবে গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
নিখোঁজ হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে আটকে পড়ে নদীতে নোঙর করে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি বাল্কহেড ফেরিটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এরপর ডুবতে থাকে ফেরি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোহাম্মদ শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, ফেরিতে ৯টি যানবাহন ও যাত্রী ছিল। ফেরিতে থাকা মানুষের চিৎকার শুনে মাছ ধরা ট্রলারে স্থানীয়রা এসে ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
বিএনএ, এসজিএন/ হাসনা