বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ‘কিশোর গ্যাং লিডার’ মো. শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) বিষয়টি জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মো. আব্দুর রউফ।
গ্রেপ্তার মো. শরীফ (২৮) লালখান বাজারের বাঘঘোনা সড়কের এম আর সিদ্দিক গেট এলাকার মো. রহিমের পুত্র। এলাকায় শরীফ ‘ডেকচি শরীফ’ নামে পরিচিত এবং প্রায় ৫০ জনের একটি শিশু-কিশোরদের সংঘবদ্ধ দলের ‘প্রধান নেতা’ হিসেবে পুলিশের তালিকাভুক্ত। শরীফ আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, শনিবার বিকেলে লালখানবাজার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। রাতে নগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মো. শরীফকে গ্রেফতার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। শরীফকে এর আগে আমরাও কয়েকবার গ্রেফতার করেছি।
উল্লেখ, শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর টাইগারপাসের বটতল এলাকায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে এ সংঘর্ষে ১৫ কর্মী আহত হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে রেজাউল আর ওই এলাকায় গণসংযোগে যাননি।
সংঘর্ষের ঘটনায় আবুল হাসনাত বেলালের পক্ষে মোহাম্মদ আলী এবং দিদারুল আলম মাসুমের পক্ষে মো. মাঈনুদ্দিন হাবিব বাদি হয়ে পৃথক মামলা দায়ের করে। দু’গ্রুপের দায়ের করা পাল্টাপাল্টি মামলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত এ কিশোর গ্যাং লিডারকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য আবুল হাসনাত মো. বেলাল শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। দিদারুল আলম মাসুম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বিএনএনিউজ/মনির
আরো পড়ুন : চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের দু গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ১৫