31 C
আবহাওয়া
১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চাঁদা আদায় নিয়ে মোহনগঞ্জ রণক্ষেত্র, ৭ পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

চাঁদা আদায় নিয়ে মোহনগঞ্জ রণক্ষেত্র, ৭ পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

চাঁদা আদায় নিয়ে মোহনগঞ্জ রণক্ষেত্র, ৭ পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

বিএনএ, নেত্রকোনা : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে সাত পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ পৌর-শহরের রেল স্টেশান এলাকার সড়কে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে একসময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এলাকাটি।

ঘটনার সময় শতাধিক দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় দূর্বৃত্তরা। পুলিশের ফাঁকা গুলি ছোঁড়াসহ প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্ঠায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে আশংকাজনক অবস্থায় নেত্রকোনা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শহরের সর্বত্র থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সন্ধ্যায় ৭টায় এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. হারুনুর রশিদ, বারহাট্টা সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান, বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ লুৎফুল হক সহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অটোরিকশা ও সিএনজি চালক সমিতির লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচলকারি অটোরিকশা ও সিএনজি থেকে ওয়ে-বিলের নামে চাঁদা আদায় করে আসছে। এই চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের রেল স্টেশন এলাকার স্ট্যান্ডে বড়খাসিয়া ও বিরামপুর এলাকার দুইটি পক্ষের চালক ও তাদের লোকজনের মাঝে বিবাদ বাঁধে। একজন চালককে মারধোরের ঘটনাও ঘটে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের শত শত লোক বিভিন্ন প্রকার দেশিয় অস্ত্র হাতে এগিয়ে আসে। বিরামপুর পক্ষের লোকজন মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল ও সংলগ্ন স্লুইচগেট এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করে।
চাঁদা আদায় নিয়ে মোহনগঞ্জ রণক্ষেত্র, ৭ পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

অপরদিকে শহরের কলেজ রোডের কাজী অফিস মোড় ও খাদ্য গোদাম এলাকায় অবস্থান নেয় বড়খাসিয়া পক্ষের লোকজন। উভয়পক্ষের লোকজন থেমে থেমে এগিয়ে গিয়ে পরস্পরের উপর আক্রমণ চালায়। এ পরিস্থিতিতে পৌর-শহরটির স্টেশন রোড ও কলেজ রোড সহ বিভিন্ন এলাকা রনক্ষেত্রে পরিণত হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও আক্রমণ-পাল্টা আত্রমণের ঘটনায় পুলিশের সাত সদস্যসহ অন্ততঃপঞ্চাশের অধীক লোকজন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়। পরে পার্শ্ববর্তী বারহাট্টা থানা থেকেও পুলিশ এসে তাদের সাথে যোগ দেয়। উভয় থানার পুলিশের চেষ্ঠায় বিকেল চারটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনার সময় গ্যাসের সিলিন্ডার, ফার্ম্মেসী, হোটেল-রেস্তুরা, চালের আড়ত, মুদি ও ফলমূলের দোকানসহ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে দূর্বত্তরা। একটি মোটর সাইকেলসহ অনেক অটোরিক্সা ভাংচুর করা হয়েছে। আড়তদার শামছুল আলম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, দূর্বত্তরা তার গুদাম থেকে চারশত চালের বস্তা নিয়ে গেছে।

মোহনগঞ্জে কর্মরত একজন সাংবাদিকের অভিযোগ, সময়মত পুলিশ আসলে পরিস্থিতি হয়তো এড়ানো সম্ভব হতো।
মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান অটোরিকশা ও সিএনজি চালক সমিতির দুইপক্ষের লোকজনের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে দুই অটো-চালকের মধ্যে কথা কাটাকাটি দিয়ে ঘটনার সূত্রপাতা হয়। উভয়পক্ষে প্রায় আটশত লোক অংশগ্রহণ করে। ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

বিএনএ/ফেরদৌস, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ