বিএনএ, (সাভার) ঢাকা: আশুলিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাডভাইজার ড. মিজানুর রহমানের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে সকাল ৯টা থেকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন ঘিরে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে সকাল ৯টা থেকে আশুলিয়ার নয়ারহাটের কহিনুর গেট এলাকায় নিটারে এ আন্দোলন শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, নিটার পরিচালিত হয় একজন প্রিন্সিপাল ও ১৬ সদস্যের গভর্নিং কাউন্সিলের মাধ্যমে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা থাকে প্রিন্সিপালেরই। গত বছর অক্টোবরে প্রিন্সিপাল ড. মিজানুর রহমান অবসরে যান। তবে এর আগেই তিনি নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে আ্যডভাইজার (উপদেষ্টা) নামে একটি পদ সৃষ্টি করেন। সেই পদাধিকার বলে তিনি বিদায় নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল নিয়ন্ত্রণ করতেন। দায়িত্বে থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে আর্থিক ও পদায়নে নানা অভিযোগ ওঠে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নে কোন কাজ না করারও অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী বিলাশ দাস বলেন, আমরা যথাযথ কোন রুটিন পাইনি। ল্যাবে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয়, কারণ পর্যাপ্ত ল্যাব নেই। এছাড়া বিভাগগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও গবেষণার জন্য বরাদ্দও নেই। এসব নিয়ে আমরা বহুদিন দাবি দাওয়া জানিয়েছি। তবে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া এতো বড়ো আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স বা চিকিৎসকও নেই। তাই আমরা এসব দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। এখন আমরা যার কারণে এতো সমস্যায় তার পদত্যাগ চাই। কোন ছায়া মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে পারে না।
জানতে চাইলে আন্দোলনে সংহতি জানানো শিক্ষক এস এম আশিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকট গুলো মূলত কৃত্রিম। সাবেক প্রিন্সিপাল তার পদ আঁকড়ে ধরে থাকার কারণে উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। নতুন প্রিন্সিপাল কিছু করে উঠতে পারছেন না। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে।
এসব দাবি দাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নিটারের সাবেক প্রিন্সিপাল ও বর্তমান আ্যডভাইজার ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি ওখানে কোন পদে নেই। নিটার নিয়ন্ত্রণ করে গভর্নিং বডি ও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ পদ্ধতিতে। তাদের নিজস্ব পদ্ধতি আছে। এখানে আমার কোন ভূমিকা নেই। শিক্ষার্থীরা কি বলছে জানি না। আমার এখানে কিছু করার নেই। যা সিদ্ধান্ত নেবার বিশ্ববিদ্যালয় নেবে।
বিএনএ/ ইমরান, এমএফ