বিএনএ ঢাকা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের নথি গায়েবের ঘটনায় চার কর্মচারীকে শনাক্তের পর তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
চার কর্মচারী হলেন, ক্রয় ও সংগ্রহ-২ শাখার সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা ও জোসেফ সরদার, প্রশাসন-২ শাখার (গ্রহণ ও বিতরণ ইউনিট) অফিস সহায়ক বাদল চন্দ্র গোস্বামী এবং প্রশাসন-৩ শাখার অফিস সহায়ক মিন্টু মিয়া।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা হিসেবে তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলায় যে সিদ্ধান্ত হবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় শাহবাগ থানায় সাধরণ ডায়েরি করেন উপসচিব নাদিয়া হায়দার।
এ ঘটনায় পরে ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তের অংশ হিসেবে ৩১ অক্টোবর সকালে সচিবালয়ে যায় ‘সিআইডি ক্রাইম সিন’। সচিবালয় তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষে (এ কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন তারা।
এই কক্ষে কর্মরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই কক্ষের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে সিআইডি কার্যালয়ে নেয়া হয়। তারা হলেন- জোসেফ, আয়শা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সাল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অফিস করে নথিগুলো ফাইল ক্যাবিনেটে রাখেন। পরদিন বেলা ১২টার দিকে কাজ করতে গিয়ে দেখেন ফাইলগুলো ক্যাবিনেটে নেই।
বিএনএনিউজ/আরকেসি