বিএনএ, চবি (চট্টগ্রাম) : আগামী ১৮ নভেম্বর (২০২১) ৫৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা, প্রবন্ধ উপস্থাপন, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সর্ববৃহৎ এ বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর । চারটি বিভাগ, সাত জন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আছে নয়টি অনুষদ, ৪৮টি বিভাগ ও ছয়টি ইনস্টিটিউট। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯ শত শিক্ষক ও ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে চবির ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, ১২ জন শিক্ষার্থীসহ তিন জন কর্মকর্তা ও কর্মচারি শহিদ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারি মোহাম্মদ হোসেনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়। এসমস্ত অবদানকে স্মরণ করতে এবং সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যাশায় আমরা দিবসটি পালন করব।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেনু কুমার দে, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুব আলম, বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান এবং প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়াসহ আরো অনেকে।
বিএনএনিউজ/ নাজমুস সায়াদাত /এইচ.এম।