বিএনএ, ঢাকা: বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘ধৈর্য ধরা ছাড়া উপায় নেই’বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। রোববার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার গুলশানে এক রেস্তোরাঁয় রাষ্ট্রায়ত্ত উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস এর এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এসময় রামপাল ও ভারত থেকে বিদ্যুৎ আসার পরই লোড শেডিং সমস্যার সমাধান দেখছেন বলেও জানান জ্বালানি উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ইউক্রেইন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে তৈরি জ্বালানি সংকটের কারণে শিগগির বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতির খবর দেয়া যাচ্ছে না।
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটা প্রকল্প থেকে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিদ্যুৎ না পাওয়াকে দায়ি করেন সরকারের এ গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন থেকে চার মাস পরে বিদ্যুৎ আসতে পারে রামপাল কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে সোলার সিস্টেম থেকে এক হাজার মেগাওয়াটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেচের মোট চাহিদার পুরোটাই সোলার সিস্টেমের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম শীতের আগেই ইউক্রেইন-রাশিয়ার যুদ্ধ থেমে যাবে। এজন্য বলেছিলাম অক্টোবর নাগাদ বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের উন্নতি হবে, কিন্তু হয়নি। ফুয়েল সংকটে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে।
আরও অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুতের জাতীয় সঞ্চালন লাইন ‘ফল করলে’তা দ্রুত সময়ে ঠিক করা যায় না। বিশ্ব পরিস্থিতি উন্নতি হলে এবং জ্বালানির দাম কমলে তা হবে সোনায় সোহাগা। নইলে জ্বালানির ঘাটতির জন্য কষ্ট করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিআইডিএস-এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বিএনএ/এমএফ