32 C
আবহাওয়া
১:৩২ পূর্বাহ্ণ - মে ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ববির শ্রেণিকক্ষে এসি-ফ্যান-বাতি নষ্ট, নেই প্রতিকার

ববির শ্রেণিকক্ষে এসি-ফ্যান-বাতি নষ্ট, নেই প্রতিকার

ববির শ্রেণিক্ষে এসি-ফ্যান-বাতি নষ্ট, নেই প্রতিকার

বিএনএ, ববি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুটি অডিটোরিয়ামের অধিকাংশ এসিই নষ্ট, প্রায় ক্লাসরুমে ফ্যান ও বাতি নষ্ট। আবার কিছু ক্লাসরুমে নেই ফ্যানের ব্যবস্থা। এতে ক্লাস, পরীক্ষা দিতে গিয়ে রীতিমতো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন যাবৎ এগুলো নষ্ট হলেও প্রতিকারে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি প্রশাসন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা হলরুমে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। নিয়মিতই কোনো না কোনো বিভাগের পরীক্ষা ও অনুষ্ঠান হয় এই হলরুমে। এই হলরুমের ছয়টি এসির মধ্য চারটিই অচল।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দুটি অডিটোরিয়াম হলের ১২টি এসির মধ্যে ছয়টি এসিই চলে না, ৪৫টি বাল্ব নষ্ট। জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স রুমে ছয়টি এসির দুটি চলে না এবং ১৪টি বাল্ব নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অন্যদিকে কীর্তনখোলা হলের ছয়টি এসির মধ্যে চারটি এসি চলে না, রিমোট না থাকায় বাকি দুটি এসিও চালানো সম্ভব হয় না। এই হলের ৪৮টি বক্স টিউবলাইটের মধ্যে ৩১টিই জ্বলে না।

‘পরীক্ষার হলে গরমে অতিষ্ঠ ছিলাম। কোনো ফ্যান ছিল না আবার এসিও নষ্ট, সেখানে অবস্থা খুবই ভয়াবহ ছিল। প্রচন্ড ঘেমে যাচ্ছিলাম। খাতা ভিজে যাচ্ছিল। আর দু-একটা এসি চলে তাও না চলার মতো। যেকোনো অনুষ্ঠান বা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই ওখানে। বিশেষ করে গরমের সময়ে। এ ছাড়া ক্লাসরুম ও কনফারেন্স হলে অনেক লাইট নষ্ট হয়ে আছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’ কথাগুলো বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওসমান গনি।

বিশ্ববিদ্যায়ের স্টেট শাখা জানায়, রেজিস্ট্রার শাখা থেকে সমস্যা উল্লেখ করে গত ৩০ আগস্ট প্রকৌশল শাখা বরাবর চিঠি দিলেও তা এখনো সমাধানের মুখ দেখেনি। এদিকে প্রকৌশল শাখা বলছে, তারা বিষয়টি সরেজমিনে দেখে উপাচার্য বরাবর অনুমোদনের জন্য দিয়েছেন। তবে কেয়ারটেকারের গাফিলতিতে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। তারা বলেন, কেয়ারটেকার ঠিকমতো বিষয়গুলো দেখেন না। এসির রিমোটও হারিয়ে ফেলেন। অনুষ্ঠান চলাকালে তাদের পাওয়া যায় না। সময়মতো সমস্যাগুলো অবহিতও করে না। ফলে ছোট সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করে।

ক্লাসরুম সংকট কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে স্কুলভবন নামে দুটি অতিরিক্ত ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে।

ভবনটির দুটি কক্ষ ১০১ এবং ১০২ নম্বর কক্ষের কোনো ফ্যানই চলে না। ভবনের আশপাশে কোনো গাছও নেই। তাই তীব্র গরমের মধ্যে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এই দুই কক্ষকে ছোটখাটো জাহান্নাম বলছেন শিক্ষার্থীরা। কোনো প্রোগ্রাম করতে গেলে কেয়ারটেকারকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অনুষ্ঠান চলাকালেও তাদের কেউ থাকেন না। কিছু বললেই বলে নষ্ট। ঠিক করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছে চাবিটা দেওয়াই তাদের প্রধান কাজ। এরপর আর পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

এস্টেট অফিসার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, সমস্যাটা আমরা লিখিত আকারে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে জানিয়েছি। বিষয়টি এখন কর্তৃপক্ষের। দেড় বছর না দুই বছর ধরে এ সমস্যা সে কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এর মাঝে ঠিক করছি আবার নষ্ট হইছে। তবে আমার কাছে মনে হয় এই প্রকৌশল শাখা এরা যথেষ্ট ঢিলে। এরা আবেদন করতে বলে কিন্তু ফলাফল কিছুই হয় না।’

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন অর রশিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভবনে সমস্যাগুলো দেখার জন্য একজন করে কেয়ারটেকার আছে। সে যদি আমাদের সমস্যার কথা চিঠির মাধ্যমে জানায়। তখন আমরা সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদারকি করে, সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর আমরা ফাইল নোট উপস্থাপন করি। কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে আমরা কাজ শুরু করতে পারি। তবে অনুমোদন দেওয়ার পর কোনো কাজ হয়নি এমন নজির নেই।’

এ বিষয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরমে ফ্যান না থাকলে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সমাধান করব। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সবসময় কাজ করব।’

বিএনএনিউজ/ রবিউল, বিএম /হাছিনা আখতার মুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ