গণ হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার চিন্তাভাবনা করছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগে কেন্দ্রীয় জমায়েত কর্মসূচি পালনকালে তিনি বলেছেন ‘গণহত্যার দায়ে দেশের মানুষ যদি আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে চায়, তবে সে দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করবে।’
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে সারজিসের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা শাহবাগ মোড়ের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে মিছিল নিয়ে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে অবস্থান নেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ স্বৈরাচারের যারা দোসর ছিল সে সব দুষ্কৃতিকারীরা নতুন একটি গণঅভ্যুত্থান করে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে। এটি কখনো হতে দেওয়া হবে না। ছাত্র সমাজ মাঠে আছে, থাকবে।’
পাল্টা গণঅভ্যুত্থান করলে তাদের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী ঘোষিত ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে চার দফা দাবি জানিয়েছি। এসব দাবি বাস্তবায়নে কালবিলম্ব করলে গদি থেকে নামানোর মতো কৌশল শিক্ষার্থীদের জানা আছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সারজিস আলম।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নতুন করে দেয়া ৪ দফা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।
সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলসহ যারা পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করা।
প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ বারংবার কায়েমের চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করা।
প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই আগষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান শপথ গ্রহণের দিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটি –এলডিপি চেয়ারম্যান ড.কর্নেল অলি আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রথম আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান।
এর পর গণপরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে দলটির সভাপতি নুরুল হক নূরও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন।
বিএনএ নিউজ, শামীমা চৌধুরী শাম্মী/এইচমুন্নী