বিএনএ ঢাকা:বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।সোমবার(১৮ আগস্ট) থেকে সেটি কার্যকর হয়েছে। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এমনই তথ্য দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মুজমদার।
তিনি আরও বলেন, চাল আমদানিতে ট্যাক্স সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।২০১৮ সালে ধানের দাম অনেক কমে যাওয়ায় এই ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল। কৃষকদের বাঁচাতে এই ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল। তখন ধান রফতানির মতো অবস্থাও ছিল না। ফলে কৃষকরা কম মূল্য পেত। তারা ধান উৎপাদন না করে জমি কেটে চিংড়ি ঘের, পুকুর, ফল ও সবজির বাগান করছিল। তখন যাতে চাল আমদানি না হয়, সেজন্য এই ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময় এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সুযোগ নেয়। ২০১৮ সালের মজুত দিয়ে করোনা মহামারি ভালোমতো মোকাবিলা করা গেছে। গতবার বোরো মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে আবাদ কম হওয়ায় মজুতও কমে যায়। ফলে চাল আমদানি করে মজুত ঠিক রাখতে হয়। আমন ধানও চাহিদামতো মজুত করা যায়নি।
সাধন চন্দ্র মুজমদার বলেন, এবার উৎপাদন আরও বেড়েছে। এই সময়ে চালের দাম আরও কম থাকার কথা। কেন বাড়ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন ১৪ লাখ টন চাল মজুত আছে। সারাদেশে বিশেষ ওএমএস দেয়া হচ্ছে। চাল আনতে বিধিনিষেধের মধ্যে ট্রাকের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে বলে আড়তদাররা বলেছেন, যোগ করেন মন্ত্রী।
মিলাররা আগে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার পাঁচগুণ মজুত করতে পারলেও তা কমিয়ে তিনগুণ করে দেয়া হয়েছে-জানিয়ে তিনি বলেন, এই তিনগুণের এক অংশ বাজারে যাবে, এক অংশ মিলে এবং আরেক অংশ মজুত থাকবে। এতে হিউজ স্টক করার স্কোপ নেই। ব্যবসায়ীরাও কিন্তু এবার অনেক স্টক করছেন, ফরিয়ারা তো রয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন মজুতের তদারকি করছে। এরপরেও মজুত রেখে যাতে দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। এনবিআর এসআরও জারি করেছে।
এছাড়া, মিলাররা গোপন জায়গায় অবৈধভাবে চাল মজুত করছেন কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
বর্তমানে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এখন ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করা যাবে।করোনা মহামারির মধ্যে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে গত বৃহস্পতিবার শুল্ক কমানোর পরিপত্র জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এতে বলা হয়, চাল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ হতে ১০ শতাংশ এবং শর্তসাপেক্ষে সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।তবে এই সুবিধা তিন মাস অর্থাৎ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
বিএনএনিউজ/আরকেসি