বিএনএ, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদুল আজহা শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়।
আগামীকাল ১৭ জুন ‘পবিত্র ঈদুল আজহা’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পিতা-পুত্র হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এবং হযরত ইসমাইল (আঃ) তাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, বিশ্ববাসীর কাছে তা চিরঅনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। প্রতি বছর এ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে সচ্ছল মুসলমানগণ কোরবানিকৃত পশুর গোশত আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জীবনের সকল পর্যায়ে মুসলমানদের ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ু–ক- এই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি, ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে। আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পবিত্র দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে বাংলাদেশ এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।’
বিএনএনিউজ/এইচ.এম/এইচমুন্নী