বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এলাকায় পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ মনিরকে (৩০ ) ৯ বছর পরে আটক করেছে র্যাব।
মনির কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার ফইয়াবাড়ীর মৃত আঃ রশিদের ছেলে।
র্যাব-৭ জানায়, ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে আগ্রাবাদ সিএন্ডবি কলোনি এলাকার নিজ বাসায় ফিরছিলেন কনস্টেবল ফরিদ উদ্দিন। এ সময় কতিপয় ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে মালামাল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন পুলিশ সদস্য ফরিদ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার তৎকালীন এসআই আমিনুল হক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন এবং ৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ধৃত আসামী অটোরিকশা চালক মনির ছিলেন উক্ত হত্যার ঘটনার অন্যতম সহযোগী। পুলিশ সদস্য ফরিদ’কে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর মনির তার অটোরিকশায় করে ছিনতাইকারীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। ৬ জন আসামীর মধ্যে মোঃ নাছির ও মোঃ রাজিব নামে দুজন আসামি মামলা তদন্তের সময় মারা যান। পরবর্তীতে বাকি চারজনকে আসামি করে ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এরপর ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল আদালত বিচার কার্য শুরু করার জন্য আদেশ দেন।
র্যাব আরও জানায়, ২০২৩ সালের ৭ মে আদালত আসামী মোঃ মাবুদ দুলাল, অর্জুন দে এবং মোঃ মনিরের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত পলাতক আসামী জসিম উদ্দিন রাজু, মো. মাবুদ দুলাল ও অজুন দেসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। অপরদিকে অটোরকিকশা চালক মনিরকে ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, আসামী মোঃ মনির চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ মে তাকে আটক করে।
আটক আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএ/ ওজি