বিশ্ব ডেস্ক: বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের বৃদ্ধি এড়াতে অনুরোধ করেছে। খবর আল জাজিরার।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার(১৫ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো তার যুদ্ধ মন্ত্রিসভা তলব করেছেন। যেখানে যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্যরা দেশটিতে ইরানের সপ্তাহান্তে আক্রমণের প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেওয়া যায় তা নিয়ে বিতর্ক করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েল ও ইরানকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন । রবিবার গভীর রাতে গুতেরেস বিবৃতিতে বলেছেন, “এ অঞ্চল বা বিশ্ব কেউই আর যুদ্ধের সামর্থ্য রাখে না।” “এখন সময় যুদ্ধ প্রশমিত করার এবং ডি-এস্কেলেট করার।”
স্প্যানিশ রেডিও স্টেশন ওন্ডা সেরোকে ইইউ-এর উচ্চ প্রতিনিধি ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিটি পলিসি জোসেপ বোরেল বলেন, “আমরা পাহাড়ের ধারে রয়েছি এবং আমাদের সেখান থেকে সরে যেতে হবে।””আমাদের ব্রেক এবং রিভার্স গিয়ারে পা রাখতে হবে।”
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর পাল্টা হামলা করার ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা মধ্য প্রাচ্যে নতুন কোন যুদ্ধ চান না। ওয়াশিংটন স্পষ্টত বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানে ফের হামলা করে তাতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না।
রাশিয়া এই হামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে তার মিত্র ইরানের সমালোচনা করা থেকে বিরত রয়েছে, তবে সোমবার ঝুঁকি বৃদ্ধির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সংযম করার আহ্বান জানিয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ” মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কোন উত্তেজনা কারও স্বার্থে নয়।”
বেলজিয়াম এবং জার্মানি হামলার বিষয়ে ইরানের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায়, যেখানে ইরান শতাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল যা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছিল যে প্রায় সবই আটকানো হয়েছে।
ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জর্ডানের সহায়তায় বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
এসজিএন