বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক : মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। দিবারাত্র পুলিশ,সেনা বনাম আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। সাবেক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সোমবার(১৫মার্চ) একদিনেই সেনা পুলিশের গুলিতে মিয়ানমারে ২০বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। এনিয়ে গত ৪৩ দিনে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনরত ১৩৮জনের প্রাণ গেল পুলিশ ও সেনাদের গুলিতে। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে জনতা আন্দোলন করছে। পুলিশও ব্যাপক ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে। ১৪মার্চ বেশ কয়েকটি চীনা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতেিআগুন দেয়ার ঘটনার পর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। খবর সিঙ্গাপুর স্ট্রেইট টাইমসের।
মঙ্গলবারের খবরে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভূত্থানে সেনা বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে গণ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১৩৮জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেশি দেশ চীনও নিন্দা জানিয়েছে ঘটনার।
ইয়াঙ্গুনের ছয় শহরে মঙ্গলবার সকাল থেকে কার্ফ্যু জারী করা হয়েছে। আটক আন্দোলনকারীদের সামরিক আদালতে বিচার করে সাজা দেয়া হচ্ছে। কার্ফ্যু অমান্য করে সূচির সমর্থকরা রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ ও সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে।
এদিকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান মিয়ানমারে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা ও কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মঙ্গলবার(১৬মার্চ) সকালে চীনের রাজধানীতে স্থানীয় সাংবাদিকদের মি.ঝাও বলেন, এটা “nasty”.
অন্যদিকে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ মিয়ানমারে অবস্থানরত তাদের নাগরিক ও বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছে। তাদের ফ্যাক্টরিগুলোতে তাইওয়ানের পতাকা উড্ডয়ন রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছে। যাতে তারা কোন ধরনের হামলার শিকার না হয়।
বিএনএনিউজ২৪/এসজিএন