22 C
আবহাওয়া
১:২১ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চাঁদাবাজি: সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান বেলালসহ গ্রেফতার ৬

চাঁদাবাজি: সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান বেলালসহ গ্রেফতার ৬

সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৬

বিএনএ, ঢাকা : ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি টিম।
চক্রটি বিভিন্ন নিরীহ ব্যবসায়ীদের টেলিফোন নম্বর সংগ্রহ করে চাঁদাবাজি করছিলো। তারা তিনগ্রুপে বিভক্ত হয়ে চাঁদাবাজি করে থাকে।
বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, তুরাগ ও পল্টন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বেল্লাল খান, রাকিব খান টিটুল, মো. আবদুল হান্নান, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. সোহাগ এবং খোরশেদ আলম। তাদের কাছ থেকে মোবাইল, সিমকার্ড ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

শনিবার(১৬ জানুয়ারী) বেলা ১২ টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের ডিসি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, বেশকিছুদিন আগে কক্সবাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে মোবাইল ফোনে টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে তাকে ও তার ছেলেকে হত্যা-গুম করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। ওই ব্যবসায়ী ভয় পেয়ে প্রতিমাসে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে থাকেন। এভাবে তাদেরকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এরপর ওই চক্রটি তার কাছে আরও বড় অঙ্কের টাকা দাবি করলে তিনি ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা ওয়ালিদ হোসেন আরও জানান, প্রথমে গ্রুপের প্রধান বেল্লাল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার টুআইসি টুটুল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পর্যায়ক্রমে গ্রুপের আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ডাইরি উদ্ধার করা হলে তার মধ্যে ভিকটিমদের তালিকা পাওয়া যায়। এই গ্রুপটি মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল কেন্দ্রীক কাজ করে। তাদের একটি গ্রুপ ঢাকায় রয়েছে। গ্রেপ্তার ছয়জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য,অভিযোগকারী ব্যবসায়ী খুলনা, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ব্যবসা করতেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের এডিসি মনিরের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে। চক্রটি ৮ থেকে ১০ জনের একটি গ্রুপ। চক্রের প্রথম গ্রুপের সদস্যরা ঢাকার নীলক্ষেতের পুরাতন বইয়ের দোকান থেকে, বিভিন্ন বই ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির বার্ষিক সদস্যদের (ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরের তালিকা) টেলিফোন গাইড সংগ্রহ করে দ্বিতীয় গ্রুপকে দেয়। দ্বিতীয় গ্রুপ ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের জিসানের নাম করে সেভেন স্টার গ্রুপের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ফোনে টাকা চেয়ে থাকে। তাদের ফোনে অনেকে ভয় পেয়ে টাকা দিয়ে দেন। তারা ভিকটিমদের বিকাশ বা নগদের বিভিন্ন হিসাবে টাকা দিতে বলে। তৃতীয় গ্রুপটি ওই হিসাব থেকে টাকা সংগ্রহ করে।

এরা কিভাবে বিকাশ কিংবা নগদের হিসাব নম্বর খোলে এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ালিদ হোসেন বলেন, এরা বিভিন্ন নিরীহ লোক ও তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হিসাব খোলে।

বিএনএ/এসকে,ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ