বিএনএ,চট্টগ্রাম : কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার অভিযোগ গঠন করা করেছে আদালত। বুধবার ( ১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পলাতক চুমকি কারণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ দুদকের মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি চুমকি কারণ পলাতক থাকায় নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। আসামি পক্ষ প্রদীপের জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করেছেন বিচারক। আগামী ১৭ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময় প্রদীপ কুমার দাশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর ও ২২ নভেম্বরও অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। গত ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র জমা দেয়। গত ১ সেপ্টেম্বর প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। আদালত মামলাটির বিচার শুরু করারও আদেশ দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রীর নামে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। চুমকির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল। যার মধ্যে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা। বাকি ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে দুদক।
এর আগে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হন। এ ঘটনায় সিনহার বোনের মামলায় প্রদীপ গত ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন প্রদীপ।
বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম