বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালাম মাজার রোড এলাকায় দলীয় কোন্দলের জেরে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী শাহ আলম(৩০) প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। নিহতের বাবার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী। তার গ্রামের বাড়ি সাভারের মোগড়াকান্দা এলাকায়। রাজধানীর দারুসসালামের লালকুঠি দ্বিতীয় কলোনির নুর ইসলামের বাসার ভাড়াটিয়া।
শনিবার(১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকার সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে নাবিল খান ও ইসলাম গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে নিহতের বোন মা মনি ভূঁইয়া মনি জানান।
তিনি আরও জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাবিল খান ও ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় শাহ আলমকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করা হয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে মারা যান।
নাবিল খান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও ইসলাম স্বেচ্ছাসেবক লীগ দারুস সালাম থানার সাবেক সভাপতি বলে জানা গেছে। নিহত যুবক নাবিল খান গ্রুপের অনুসারী।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা অটোরিকশা চালক লিমন জানান, ছুরিকাঘাতে আহত শাহ আলমকে দারুস সালাম থানার বর্ধনবাড়ি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে নিজের অটোতে তুলে মিরপুরের সেলিনা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতাল এরপর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহত শাহ আলমের কোমর ও পায়ের পেছনে ছুরিকাঘাতে রক্তনালী কেটে গেছে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি