বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে করোনার টিকা দিতে প্রতিদিনই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতাল সমূহে মানুষ ভিড় করছেন।
বুধবার(১৫সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনা টিকা নিতে যাওয়া আগের দিনগুলোর চেয়ে সেখানে লোকের ভিড় কম। দীর্ঘ লাইনও নেই।
মাইকিং করে বলা হয়, মডার্নার করোনার টিকা নেই। টিকা আসা সাপেক্ষে এসএমএস প্রেরণ করা হবে। দয়া করে যারা মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ দিতে এসেছেন তারা বাড়ি ফিরে যান। কয়েকটি নোটিশও হাসপাতাল গেইটে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিএনএনিউজকে বলেন, নগর ও জেলায় সিনোফার্মের টিকা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ চলমান রয়েছে। সীমিত আকারে প্রবাসিদের এসট্রেজেনেকা ও মডার্ণার টিকা দেয়া হচ্ছে। দেড় হাজারের মতো মডার্ণার দ্বিতীয় ডোজ বাকি রয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে মডার্ণা আসবে। দুইদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ শেষ করা হবে।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র বিএনএকে করোনা টিকা প্রদানের সর্বশেষ(১৪ সেপ্টেম্বর) তথ্য বুধবার জানিয়েছে।তথ্যে দেখা যায়,
এসট্রেজেনেকা : এসট্রেজেনেকা প্রথম দফায় চট্টগ্রামে এসেছে ৮ লাখ ১১ হাজার ২৫০ ডোজ টিকা এবং দ্বিতীয় দফায় এসেছে ১০ লাখ ৮ হাজার ডোজ টিকা।
শহরে এসট্রেজেনেকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭ জন। উপজেলায় এসট্রেজেনেকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৬৫৪ এবং দ্বিতীয় ডোজ ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৬১ জন।
এছাড়া শহরে ৫ হাজার ১৫৭ ডোজ এবং উপজেলায় ১ হাজার ২৮৬ ডোজ মওজুদ আছে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের স্টোরে আছে ১৩০ ডোজ।
মডার্ণা : শহরে মডার্ণা প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ২ লাখ ৯ হাজার ৩০৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮০ জন। ক্যাম্পইনে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৩৫ জন এবং একইভাবে দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৩৫ জন।
চট্টগ্রামে মডার্ণা এসেছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৮০ ডোজ। সিটির বর্তমান মওজুদ ৪ হাজার ৮৬ ডোজ। সিভিল সার্জন অফিসের স্টোরে রয়েছে ৭১৪ ডোজ।
সিনোফার্ম : উপজেলায় সিনোফার্মের প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ২০১ ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১২৭ জন। ক্যাম্পইনে উপজেলায় প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১০৯ জন এবং একইভাবে দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১০৯ জন। শহরে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৩৭৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৭ জন।
চট্টগ্রামে সিনোফার্মের টিকা এেেসছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ ডোজ। উপজেলায় ২৪ হাজার ১৬ ডোজ এবং শহরে ৪৭ হাজার ৪৭৩ ডোজ টিকা মওজুদ রয়েছে। এছাড়া সিভিল সার্জন অফিসের স্টোরে আছে ৮৫ হাজার ৪শ’ ডোজ টিকা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাতীয় সংসদে জানান, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জনকে বাংলাদেশে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জনকে। সর্বমোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির ভয়াবহতা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ন্যাশনাল ডেভেলপম্যান্ট অ্যান্ড ভ্যাকসিনেশন প্ল্যান (এনডিভিপি) প্রস্তুত করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ক্রমান্বয়ে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন : ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে : প্রধানমন্ত্রী
বিএনএনিউজ24ডটকম, আমিন,জিএন