বিএনএ, রাবি : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গত ১৭ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। আগামী রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
তবে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে শিক্ষকরা পদত্যাগ করায় রবিবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হচ্ছেনা বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডিসহ পদত্যাগ করেছেন মোট ৭১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ফলে অনেকটা অভিভাবকহীনভাবেই আছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এদিকে পাঠদান কার্যক্রম দ্রুত সময়ে শুরু করতে না পারলে সেশনজটের আশঙ্কা বাড়ছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিও জানিয়েছেন তারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম কবে শুরু হবে তা নির্ভর করছে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার উপর। এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
গত ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিন্তু এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। কবে নাগাদ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে তাও বলা যাচ্ছে না। দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে তবেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা হবে।”
কবে নাগাদ শুরু হবে রাবির স্বাভাবিক কার্যক্রম— এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, “মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে উপাচার্যকে মার্ক করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন উপাচার্য নেই এবং ভারপ্রাপ্ত কাউকে দায়িত্বও দেয়া হয়নি। তাই শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপাচার্য না থাকায় এ মুহূর্তে সিন্ডিকেট সভাও সম্ভব নয়।”
বিএনএনিউজ/সৈয়দ সাকিব/এইচ.এম।