বিএনএ, ঢাকা: আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বনানী কবরস্থানে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকরা জানান, তারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বাধার মুখে ফিরে আসতে হয়। এরপর তারা বনানী কবরস্থানে এসেছেন। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামী লীগ ও দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জনশুন্য বনানী কবরস্থানে সকাল ৮টার পর থেকে হাতে গোনা কয়েকজন করে নেতাকর্মীরা ধাপে ধাপে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শেখ মুজিব ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সে রাতেই শেখ মুজিব ও তার পরিবার এবং নিকটাত্মীয়সহ মোট ২৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ধানমন্ডির বাড়িতে শেখ মুজিবের সঙ্গে হত্যা করা হয় তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, শেখ মুজিবের একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, শেখ মুজিবের ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।
শেখ মুজিবের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়।
বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম