বিএনএ, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্যাম্পাসে অবস্থান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের পাঁচ নেতা-কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে আহত অবস্থায় তাদেরকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনের আম বাগানে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এদিকে এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাতে মশাল মিছিল করেছেন তারা।
মারধরে আহত হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম আহবায়ক রাকিব হোসেন, ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সদস্য আল আশরাফ রাফী, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকারসহ সাধারণ শিক্ষার্থী ইব্রাহিম।
অভিযুক্ত নেতাকর্মীরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা ও ছাত্রলীগ কর্মী প্রিন্সসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০জন নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনে গেলে সেখানে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা ও বাংলা বিভাগের ছাত্রলীগ কর্মী প্রিন্সের নেতৃত্বে প্রায় ১২-১৩টি মোটরসাইকেল যোগে ৩০ জন নেতা-কর্মী তাদেরকে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় কয়েকজন নেতাকর্মীকে মাটিতে পড়ে গেলে তাদের লাথি-কিল-ঘুসি মেরে আহত করা হয়; এবং কয়েকজনের শার্ট টেনে ছিঁড়ে ফেলেন।
ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, আমরা চা খেতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারতে মারতে ডিনস কমপ্লেক্স ভবনের সামনে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে আমাদেরকে হলে চলে যাওয়ার জন্য বলে তারা চলে যান।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মনু মোহন বাপ্পার কাছে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, “আজকে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামের পর আমি ক্যাম্পাস থেকে চলে যাই; ওরা অভিযোগ করতেই পারে। কিন্তু আমি কারো গায়ে হাত দিইনি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আসাবুল হক বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আহতদেরকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া শেষে অভিযোগের ভিত্তিতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিএনএনিউজ/সৈয়দ সাকিব/এইচ.এম/এইচমুন্নী