স্পোর্টস ডেস্ক: অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি কেউ। দুই দলই পেয়েছিল গোলের সুযোগ, কিন্তু কেউ-ই পায়নি জালের নাগাল। ফলে ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।
প্রধমার্ধের বিরতির পর প্রায় ৩৩ মিনিট পারফর্ম করেন কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা। তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হন মাঠে উপস্থিত ৬৫ হাজার দর্শক। শাকিরার পারফরম্যান্সের পর শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চালায় দুই দল। ৪৮ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু থেকে গোল করতে দেননি কলম্বিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা ৫৮ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ডি মারিয়া। এ সময় তার নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় ধরে ফেলেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক কামিলো ভার্গাস।
ম্যাচের ৬৬ মিনিটে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি। মাঠের চিকিৎসার পর আর্মব্যান্ড তুলে দিলেন আনহেল ডি মারিয়ার কাছে। মেসির পরিবর্তে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন নিকো গঞ্জালেস। সাইডবেঞ্চে বসেই এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েন মেসি। নিশ্চিতভাবেই লিওনেল মেসির জন্য এটি ছিল শেষ কোপা আমেরিকা।
৭৫ মিনিটে বল জালে জড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির বদলি হিসেবে নামা গঞ্জালেস পেয়েছিলেন জালের নাগাল। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। ৮৮ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় আর্জেন্টিনার। ডি মারিয়ার ক্রসে গোলের সামনে বাড়ান নিকো গঞ্জালেস। কিন্তু জুলিয়ান আলভারেজ সময়মতো পৌঁছাতে পারলেন না। ৮৭ মিনিটে ডি মারিয় আরেকটি ভালো ক্রস দিলেও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো বলটা রাখতে পারলেন না। শেষ মুহূর্তে কলম্বিয়ার বক্সে পরপর কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি ডি মারিয়া। এতে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য থাকল ম্যাচ। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত কোনও অতিরিক্ত সময় ছিল না। ফাইনালে আছে। ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময় হবে।
এর আগে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই সমানে সমান লড়ে গেল। তবে গোল পায়নি কেউ। আর্জেন্টিনার থেকে কলম্বিয়া সুযোগ তৈরি করেছে বেশি। কিন্তু বল জালে জড়াতে পারেনি। আর্জেন্টিনা প্রচুর মিস পাস করেছে। বলও দখলে রাখতে পারেনি সেভাবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ