বিএনএ, ঢাকা : গত ২৭ জানুয়ারি একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। কোনো জটিলতা দেখা না দেয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারাদেশে গণ টিকাদান। ইতোমধ্যে যারা করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে দুই মাস পর জানিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান গণমাধ্যমকে বলেন, যারা ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম টিকা নিয়েছেন, তাদের ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে।
তবে প্রথম দিকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য এক মাস পরের তারিখ লিখে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এই টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়লে কার্যকারিতাও বাড়ে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার সুপারিশ করে জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি। এর জন্য মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে তাদের নতুন তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম ১৫ ফেব্রুয়ারি জানান, বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডোজ দুই মাস পরেই দেয়া হবে।
এরপর থেকে যারা টিকার প্রথম ডোজ নিচ্ছেন, দ্বিতীয় ডোজের জন্য তাদের টিকা কার্ডে দুই মাস পরের তারিখই দেয়া হচ্ছে।
২৬ জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় করোনা টিকার। প্রথম দফায় দেশে করোনার টিকা দেয়া হবে ৫০ লাখ মানুষকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য আলাদা টিম গঠন করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ফাইজারের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৪ লাখ সম্মুখসারির মানুষকে ফাইজারের টিকা দিতে হবে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন নিবন্ধন, ভ্যাকসিন কার্ড, সম্মতিপত্র, ভ্যাকসিন সনদ প্রদানে আইসিটি বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সুরক্ষা ওয়েবসাইট’ প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/জেবি