বিএনএ,ঢাকা : এক বছর পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধোয়া-মোছার কাজ শুরু করেছে। আশপাশে লোকজনদের অভিযোগে জনা যায়, ১১ মাস থাকে অন্ধকার, অপরিস্কার, অহেলায়। এমনকি বকাটেদের আড্ডা খানা। আর মাত্র ৫ দিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
১৯৫২ সালের এই দিনে মায়ের ভাষা বাংলার দাবিতে শরীরে রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়েছিলেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে। ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশ – বিদেশে প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘুরে দেখা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধোয়া-মোছার কাজ পুরোদমে চলছে।
এছাড়াও প্রস্তুত করা হচ্ছে শহীদ মিনারের চৌহদ্দি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরাও গাছে গাছে লাইটিং ও রং -বেরঙ্গের কালারে আল্পনা এবং কি গাছে, বৈদ্যুৎতিক খুঁটিতে মাইক ঝুলানো হচ্ছে। ভেতরে মূল বেদী থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে ধোয়া মোছার কাজ।
পাশের দেওয়াল গুলোতে চলছে রঙ্গের কাজ। রঙ্গের কাজ শেষ হলে আল্পনার সাজে সাজবে শহীদ মিনারে দেওয়াল। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে লক্ষ্যে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ও হাই পাওয়ারের লাইট স্থাপনের লক্ষ্যে তার টানা হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উত্তর দিকের দেয়ালে লিখনের জন্য সাদা, গোলাপি ও লালসহ বিভিন্ন রং দেওয়া হচ্ছে।
রংয়ের কাজ শেষ হলে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেয়াল লিখন শুরু করবে।রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর অর্থাৎ ১২টা ১ মিনিটি থেকে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে আমজনতার ঢল নামে। শ্রদ্ধার অর্ঘ্যে ছেয়ে যায় শহীদ মিনার।
এ ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতির কারণে গত বছর দুয়েক ধরে সীমিত পরিসরে ২১ ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পালিত হচ্ছে। একসঙ্গে বেশি মানুষকে শহীদ মিনারে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা আমাদের সবারি সর্তক থাকা প্রয়োজন। আমাদের হাসপাতাল থেকে যেতটুকু সহযোগিতা করা দরকার তা আমরা করবো।
তিনি আরো বলেন, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ যে ভাবে ব্যবস্হা নিয়েছেন তা খুব ভাল পদক্ষেপ। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।উপরন্তু একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা সনদ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মুখে থাকতে হবে মাস্ক।
এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন।
বিএনএনিউজ২৪.কম/আজিজুল/এনএএম