বিএনএ, ডেস্ক: পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত জীবনধারা নিয়ে চিন্তিত সকলেই। যখন অফিস পৌঁছতে পাঁচ মিনিট দেরি হয় অনেকেই ভাবেন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে গেলে সকালে ঠিক সময় উঠতে পারতাম। পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে না পারায় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন। নিজেকে বদলাতে হলে চাই মনের জোর, একাগ্রতা।
ওজন কমানোর কথা উঠলে প্রথমেই খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার পরামর্শ আসে। ওজন কমানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে না খেয়ে থাকা, এটাই মনে করেন অনেকেই। তাই নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়ার পথে না গিয়ে বরং অনশনের পথ বেছে নেন অনেকে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে গিয়ে যদি শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব ঘটে, তা হলে ওজন তো কমেই না, উল্টে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ওজন কমানোর জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা। সেজন্য এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করবে।
নিশ্চিত করুন যে আপনি দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন। রাতের পর্যাপ্ত ঘুম আপনাকে একটা ফুরফুরে দিন উপহার দিতে পারে।
দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি দিয়ে। সারাদিনে কমপক্ষে ২-৩ লিটার। চেষ্টা করুন শরীর চর্চা বাড়ির বাইরে গিয়ে করতে। রোদের আলো থেকে যে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় তা আপনাকে সক্রিয় রাখবে সারাদিন। পাশাপাশি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে ও কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
একটু কষ্ট হলেও ডায়েট থেকে চিনি বাদ দিন। ফাস্টফুড জাঙ্ক ফুডেও প্রচুর চিনি থাকে এগুলো শরীরকে প্রভাবিত করে ভীষণ রকম। পুষ্টিকর খাবার খান।
সারাদিনে এক ঘন্টা বই পড়ুন। আপনার পছন্দের যে কোন বই। পড়া শেষ হলে পছন্দের লাইনগুলো একটা ডাইরিতে লিখুন। মনে রাখবেন সব ধরনের অভিজ্ঞতায় আপনাকে জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও প্রোটিন অত্যন্ত সহায়ক। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে থাকা উচ্চ গ্লাইসেমিক দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত খাবার, ডিম এবং ফল, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খাবারে ভরপুর প্রোটিন থাকে।
পেটের অতিরিক্ত মেদ ও চর্বি কমাতে সামুদ্রিক মাছ বেশ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি পাওয়া যায়।এ ছাড়াও আখরোট, চিয়া বীজ, সয়াবিন, সয়াবিন তেল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি পাওয়া যায়।
বিপাকক্রিয়ায় ব্যাপকভাবে সাহায্য করে ফাইবার। হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ফাইবার ওজন কমাতে, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্র কমাতেও সহায়ক। বীজ, বিভিন্ন শস্য, ব্রাউন রাইস, বেরি জাতীয় ফল, বাদাম ইত্যাদি খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে শরীর তাজা ও ঝরঝরে রাখে ভিটামিন-সি। টক জাতীয় ফল, সবুজ শাকসবজি, স্ট্রবেরি, আমলকি ইত্যাদি।
বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম