33 C
আবহাওয়া
৭:৫৩ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ; ২৩ সালের নভেম্বরে তফসিল

জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ; ২৩ সালের নভেম্বরে তফসিল

জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ

বিএনএ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে। আর ভোট হবে ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত রোডম্যাপে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেন কমিশনার মো. আলমগীর। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল অসুস্থ থাকায় তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, ২০ পৃষ্ঠার কর্মপরিকল্পনায় কমিশন ২০২৩ সালের নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ডিসেম্বরের শেষ ভোট গ্রহণ করা সম্ভব না হলেও পরের বছর অর্থ্যাৎ চব্বিশ সালে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট গ্রহণ করা হবে।

মো. আলমগীর জানান, মোট ১৫ দিনের মধ্যে ভোটের সময় রেখে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, নিজেদের জবাবদিহিতা ঠিক রাখতেই ভোটের কর্মপরিকল্পনা। ইসি অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন। আস্থাহীনতা আগে থেকেই তৈরি হয়ে আছে। বর্তমান কমিশন আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে হয়রানিমূলক মামলা যাতে না হয়, সে পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবো।

রোডম্যাপে নির্বাচন নিয়ে ইসির ভাবনা

১. অংশগ্রহণমূলক (ইচ্ছুক সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নির্বাচণে সক্রিয় অংশগ্রহণ)।

২. স্বচ্ছ (নির্বাচন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সবার অগ্রগতির জন্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ, পর্যাপ্তসংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীদের অবাধে সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ)।

৩. নিরপেক্ষ (সব প্রার্থীর প্রতি সমআচরণ, নির্বাচন কমিশনের অধিকসংখ্যক যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ, নিরপেক্ষ প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের প্রমাণ পেলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি, নির্বাচনি আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া)।

৪. গ্রহণযোগ্য (ইসি কর্তৃক সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী সব কার্যক্রম গ্রহণ এবং যথাযথ প্রয়োগ যাতে নির্বাচনের ফল সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়)।

৫. সুষ্ঠু (নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে রাখা, প্রার্থী বা সমর্থক যেন নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করা, অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া, সব প্রার্থী যেন আচরণিবিধি অনুযায়ী নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারেন, তা নিশ্চিত করা)।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ