বিএনএ ঢাকা: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
সে সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন,সম্প্রতি সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা কমেছে। তাই, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়বে। এ জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি, তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জানান তিনি।
ফরহাদ হোসেন বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট ছিল। কিন্তু, বর্তমানে তা নেই বললেই চলে। এজন্য শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি, ২৩ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকেন। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য ছয় থেকে সাত বছর সময় পান।
এছাড়া, ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দু–এক বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি