আদালত প্রতিবেদক: গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে কর ফাঁকির মামলার রিট শুনানি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে গণফোরাম সভাপতির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি ও ইলিন ইমন সাহা।
তবে রিট আবেদনটি হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে গণফোরাম সভাপতির আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত রোববার (১২ জুন) রিট আবেদনের আংশিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৪ জুন) পরবর্তী দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন। সেই সঙ্গে ড. কামালের ট্যাক্স কনসালট্যান্টকে হাজির হতে বলেন হাইকোর্ট।
আয়কর নিয়ে ট্যাকসেস আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদনটি করে ড. কামাল হোসেনের ল ফার্ম ‘ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা সুদ দাবি করে।
রাজস্ব বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আপিল ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন খারিজ করে দেন। কিন্তু তাও খারিজ হওয়ায় পরে হাইকোর্টে রিট করেন ড. কামাল হোসেন।