বিনোদন ডেস্ক: ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ নিয়ে থানা গেলেও পুলিশ তাকে সহায়তা করেনি বলে যে অভিযোগ নায়িকা পরীমনি করেছেন তা অস্বীকার করেছেন বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া। রোববার (১৩ জুন) রাতে বনানীর বাসায় দফায় দফায় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন। সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তার অভিযোগ রেকর্ড করেননি। বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। যে জায়গায় পরীমণি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন সেই ঢাকা বোটক্লাব রূপনগর থানার মধ্যে পড়েছে।
এরপর মধ্যরাতে তার বাসায় আসেন রূপনগর থানার ওসি আরিফুর রহমান সরদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। তারা পরীমণির কাছে ঘটনার বিবরণ শোনেন। ওসি পরীমণিকে বলছিলেন, তারা ঘটনা সাজিয়ে লেখে পরীমণিকে দেখিয়ে তার স্বাক্ষর নেবেন।
বনানী থানায় যাওয়ার পর থেকে পুলিশের সঙ্গে কথোপকথন তারা রেকর্ড করেছেন বলে জানান। কর্তব্যরত কর্মকর্তা তাকে পরদিন সকাল ১০টায় ‘ওসি স্যার’ আসার পর থানায় আসতে বলেন। ‘এরপর কতো ১০টা চলে গেছে’ কথাটির কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করেন পরীমণি। কথা বলতে বলতে মাঝে মধ্যেই কেঁদে ফেলছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ছাড়া পেয়ে বনানী থানায় গিয়েছিলেন জানিয়ে পরীমণি বলেন, ‘তার মুখে মদের গন্ধ থাকায়’ পুলিশ কর্মকর্তারা তার কথা শুনতে চায়নি। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে ওয়াশ করার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে তিনি বাসায় চলে আসেন।
তবে রোববার রাতে বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত কয়েকদিনে এই নামে থানায় কেউ আসেনি। কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।’
বিএনএ নিউজ২৪/এমএইচ