বিএনএ, ঢাকা: মুক্তিপণ নিয়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে তীরে পৌঁছানোর পর অন্তত আট জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে সোমালিয়ার স্থানীয় পুলিশ। আজ রোববার দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গারো অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পুন্টল্যান্ড পুলিশ ফোর্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই জলদস্যুদের সঙ্গে আল–শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ছিনতাই করা জলদস্যু দলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অভিযানে জলদস্যুদের দেওয়া মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা হয়নি।
পুন্টল্যান্ডের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের জিম্মির সঙ্গে জড়িত এই ৮ দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের কোনো অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।
এর আগে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩২ দিন পর মুক্তি পান বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা।
রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।
তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিককে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখা হয়।
জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর একজন নাবিক হোয়াটসঅ্যাপে পরিবারের সদস্যদের জানান, শনিবার বিকেলে উড়োজাহাজ থেকে ব্যাগভর্তি ডলার জাহাজের পাশে ফেলা হয়। দস্যুরা তা কুড়িয়ে নিলেও জাহাজে অবস্থান করছিল। মূলত নৌবাহিনীর জাহাজ ও পান্টল্যান্ড পুলিশের নজরদারি এড়াতে গভীর রাতে তারা জাহাজ ছেড়ে যায়।
বিএনএ/এমএফ/এইচমুন্নী