বিএনএ, বরিশাল: ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধরে নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলায় সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার আটজন আসামি হাজির হয়ে জামিন চান। তাদের মধ্যে আদালত সাতজনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর অশোক কুমার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আবদুর রহমান বলেন, ‘তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে মোট আটজন বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম হারুন অর রশীদের আদালতে জামিন চান। তাদের মধ্যে এজাহারের ১৩ নম্বর আসামি মো. জাফর হোসেন হাওলাদারের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।’ কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মামলার ১নং আসামি আসম হাফিজ আল আসাদ, ২ নং আসামি আরিফুল ইসলাম মুরাদ, ৩নং আসামি কাশেম হাওলাদার, ৪ নং আসামি সাইফুল ইসলাম মিরাজ, ৮নং আসামি ওয়ালি উল্লাহ ইমরান, ৯নং আসামি জাহিদুল ইসলাম মেহেদি ও ১০ নং আসামি সোহাগ হাওলাদার।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধরের পর ২ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ। তিনি দৈনিক ভোরের ডাক নামের একটি পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি ও নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছিলেন।
সাংবাদিক মাসউদের মৃত্যুর ঘটনায় ৪ মার্চ তার স্ত্রী সাজেদা বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় ১৩ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে সোহেল হাফিজ এনটিভি, সাইফুল ইসলাম মিরাজ সময়, ফেরদৌস খান ইমন যমুনা, মালেক মিঠু ডিবিসি নিউজ, জাহিদুল ইসলাম মেহেদি বাংলানিউজ, ওয়ালি উল্লাহ ইমরান দৈনিক আজকের দর্পণ ও কাশেম হাওলাদার অনলাইন পোর্টাল সংবাদ প্রকাশের বরগুনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এ বিষয়ে আইনজীবী আবদুর রহমান বলেন, ‘নথি হাতে পাওয়ার পর আমরা আদালতে জামিন আবেদন করব।’
মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রী সাজেদা বলেন, ‘মামলার আসামিদেরকে প্রেসক্লাবের সদস্যপদ ও মিডিয়া থেকেও বহিষ্কার করা হয়নি। আমি ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কিত। এমনিতেই আসামিদের সহযোগীরা মামলাটি বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। আমাকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায় বিচারের দাবি জানাই।’
বিএনএনিউজ/ সাইয়েদ কাজল/ রেহানা/ বিএম