বিএনএ: পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। ২০১৪ সালের পর দেশটির ইতিহাসে এটিই সর্বনিম্ন রিজার্ভ। বিদেশি ঋণের একটি অংশ পরিশোধের পর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
আল-জাজিরা জানায়, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) হিসাব অনুযায়ী পাকিস্তানের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে বর্তমানে ৫৮০ কোটি ডলার রয়েছে। তার সঙ্গে বৈদেশিক রিজার্ভ যোগ করে দেখা যায়, দেশটির হাতে সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০ কোটি ডলার রয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তার আশায় বসে আছে। আইএমএফ পাকিস্তানের জন্য ১ হাজার ১১০ কোটি ডলারের ঋণ ছাড় করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি ২০১৯ সালে দেশটিকে দেয়া ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ প্রকল্পের অংশ। পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর কাছ থেকেও তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তার আশায় পাকিস্তানের নেতারা তৎপর হয়েছেন।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) সফরে গিয়ে উপসাগরীয় আরব দেশটির কাছ থেকে বর্তমান ২০০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত পরিবর্তন এবং বাড়তি ১০০ কোটি ডলারের ঋণ সংগ্রহের আশ্বাস পেয়েছেন।
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি পাকিস্তান গত বছর বড় ধরনের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুর্যোগে অন্তত ১ হাজার ৭০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। এতে দেশটির তিন হাজার কোটি ডলারের বেশি লোকসান হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক দাতাদের সঙ্গে জেনেভায় জাতিসংঘের দপ্তরে এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। এখানে বৈশ্বিক সম্প্রদায় আগামী তিন বছরে পাকিস্তানকে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সহসা পাকিস্তানের সংকট দূর হবে না। উত্তরণের জন্য স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থার পরিবর্তে টেকসই সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।
বিএনএনিউজ /এ আর