বিএনএ,দিনাজপুর:দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় সাবেক ২২ কর্মকর্তা একদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।তাদের মধ্যে খনির সাবেক ছয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকও (এমডি) রয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে তাদেরকে জামিনের আদেশ সাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর জেলা কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন।
এর আগে বুধবার(১৩ জানুয়ারি)চার্জ গঠনের শুনানিতে হাজিরা দিতে দিনাজপুর স্পেশাল জজ আদালতে যান আসামিরা।তারা জামিনের আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মাহমুদুল করিম।পরে তাদের জামিন সংক্রান্ত একটি রিট উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকার কথা জানিয়ে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান জাহানী।এরপর বিকেলে এক আদেশে তাদের জামিন দেয় একই আদালত।পরে সেই জামিন আদেশের কপি জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।তবে নির্দিষ্ট সময়ের পরে সেই আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছানোয় বুধবার তাদের জামিনে মুক্তি দেয়নি কারাগার কর্তৃপক্ষ।
সনংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান জাহানী।তিনি বলেন, সম্প্রতি জামিনের নিষেধাজ্ঞা এনে উচ্চ আদালতে একটি রিট করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।সেই রিটের বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।সেই অবস্থায় বুধবার ২২ জনের জামিন না মঞ্জুর করেন দিনাজপুর স্পেশাল জজ আদালত।পরে উচ্চ আদালতের বিচারাধীন রিটের কাগজপত্র স্পেশাল জজ আদালতে উপস্থাপন করা হলে তাদের জামিন মঞ্জুর করে একই আদালত।
জামিনে যাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়েছে তারা হলেন-সাবেক ছয় এমডি মো. আব্দুল আজিজ খান,প্রকৌশলী খুরশিদ আলম,প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ।
এছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম)মো. আবুল কাশেম প্রধানিয়া,শরিফুল আলম, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, মো. আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপব্যবস্থাপক মো. মোর্শেদুজ্জামান, মো. খলিলুর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সত্যেন্দ্রনাথ বর্মন, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. সোহেবুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম,ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের আলী।
মামলা সূত্রে জানা যায়,২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয়।যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান।মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।পরে তদন্ত করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বিএনএনিউজ/এস শাহী,আরকেসি
