বিশ্ব ডেস্ক, ১৩ নভেম্বর : পর্যায়ক্রমে সব প্রদেশের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে জানিয়েছে ইসলামিক এমিরাটস অব আফগানিস্তানের শিক্ষামন্ত্রাণালয়ের মুখপাত্র নজর মোহাম্মদ ইরফান। তিনি বলেন, প্রথম দফায় ৭টি প্রদেশে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় খুলে দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বালিকাদের উচ্চ শিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে সে অনুযায়ি প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আফগানিস্তানে মোট প্রদেশের সংখ্যা ৩৪টি। তার মধ্যে মাত্র ৭টি প্রদেশের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় খুলে দেয়ার খবরে অন্যান্য প্রদেশের বালিকারা খুবই উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েছে। নারী অধিকার কর্মী ও ছাত্রীরা সব প্রদেশের স্কুল খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেছে, এটা বৈষম্য।তোলো নিউজ।
১৫আগস্ট তালেবানরা আফগানিস্তানের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেবার পর একমাসের মধ্যেই পুরুষ শিক্ষক ও বালকদের স্কুল, মাদ্রাসায় যাবার অনুমতি দেয়। সে সাথে প্রাথমিকের শিশুকন্যাদেরও স্কুল মাদরাসা খুলে দেয়া হয়। কিন্ত বালিকা ও মহিলা শিক্ষিকাদের হাইস্কুলে যাবার ব্যাপারে সময় ক্ষেপন করে।
অন্য এক খবরে বলা হয়, স্কুল খুলে দিলেও অসংখ্য শিক্ষক গত ৩/৪মাস ধরে কোন বেতন পাচ্ছেন না। হেরাত প্রদেশে সরকার দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাশ চালু করেছে। সেখানে মেয়েরা লেখাপড়া করছে। প্রদেশটিতে ৩লাখ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করছে।
আফগানিস্তানে বাল্য বিবাহ বৃদ্ধি
চরম আর্থিক সংকট ও দারিদ্রতার কারণে আফগানিস্তানে বাল্য বিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে করোনা অন্যদিকে সরকার পরিবর্তন দরিদ্র মানুষকে আরও দরিদ্র করেছে। কর্মসংস্থান ও ব্যবসা বাণিজ্যের অভাব তীব্র সেখানে। বিদেশি সাহায্যও প্রায় বন্ধ রয়েছে সেখানে।
ইউনিসেফের এক জরিপে বলা হয়, ১৫থেকে ৪৯ বছর বয়সি নারীদের মধ্যে ২৮% নারীর বিয়ে হয়েছে ১৫বছর বয়স পার হবার আগেই। অনেক দরিদ্র পিতা মাতা টাকার জন্য অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়।
বিএনএনিউজ,জিএন